আহসান উল্লাহ,খোরদো(কলারোয়া) প্রতিনিধিঃ
কলারোয়া উপজেলার প্রাচীনতম হাট গুলোর মধ্যে খোরদো হাট অন্যতম। এই হাটে অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের পাশাপাশি পানের হাট বসে। এই খোরদো বাজার পানের হাট নামেও পরিচিত। এই বাজার কে কেন্দ্র করে আশপাশের বেশ কয়েকটি গ্রামে গড়ে উঠেছে অনেক পানের বরজ। আশপাশের যাতায়াত ব্যবস্থা ভাল হয় খুব সহজে তারা এই খোরদো হাটে পান নিয়ে আসেন বিক্রির উদ্দেশ্যে। সপ্তাহে দুই দিন প্রতি রবিবার ও বৃহস্পতিবার এ জমজমাট পানের হাট বসে। পান ক্রয় বিক্রয়ের জন্য আশপাশের কয়েকটি উপজেলা থেকে যেমন মনিরামপুর, কেশবপুর, ঝিকরগাছা সহ বেশ কয়েকটি উপজেলা থেকে বিভিন্ন ক্রেতা-বিক্রেতাগন আসেন। যারা পাইকারি ও খুচরা পান ক্রয়-বিক্রয় করে থাকেন। পান উৎপাদনের দিক থেকে মনিরামপুর উপজেলার খাজুরা কাঠালতলা ও খোরদো গ্রাম ঘিরে গড়ে উঠেছে বেশ কয়েকটি পানের বরজ। একজন পান চাষির সাথে কথা বলে জানা যায় পান চাষ বেশ লাভজনক। যদি আবহাওয়া অনুকূলে থাকে এবং সঠিক পরিচর্যা করা যায় তাহলে পান চাষে সফল হওয়া যাবে। পানের বরজ থেকে প্রতিদিনই প্রতিটি পান গাছের গোড়া থেকে একটি দুটি তিনটি চারটি পর্যন্ত পান পাতা সংগ্রহ করা হয়। বিক্রয়ের জন্য পান গুন্ডা হিসাবে গণনা করা হয়। পান পাতার আকার ও সাইজ অনুপাতে তিন ভাগে ভাগ করা হয় বড়, মাঝারি ও ছোট বড় পান গুলো ছোট পানির তুলনায় দামটা বেশি। এই পান গুলো বিভিন্ন চায়ের দোকানে বিক্রি করা হয় খিলিপান হিসেবে। মাঝারি ও ছোট পানগুলো সাধারণ খুচরা ক্রেতাগণ খাওয়ার জন্য ক্রয় করে থাকেন। এলাকার চাহিদা মিটিয়ে এই পান পাঠানো হয় রাজধানী ঢাকা সহ বিভিন্ন জেলাতে।