মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪

সদ্যপ্রাপ্ত সংবাদ
নাই বা থাকি অসহায় মানুষের পাশে তবে কেন কেড়ে নিবো দুমুঠো খাবার জোগানের হাতিয়ার
নাই বা থাকি অসহায় মানুষের পাশে তবে কেন কেড়ে নিবো দুমুঠো খাবার জোগানের হাতিয়ার

নাই বা থাকি অসহায় মানুষের পাশে তবে কেন কেড়ে নিবো দুমুঠো খাবার জোগানের হাতিয়ার

আহসান উল্লাহ,খোরদো (কলারোয়া) প্রতিনিধি:

যশোরের মনিরামপুর উপজেলা রাজগঞ্জ শাহপুর জামতলা নামক স্থান। যেখানে একসময় সন্ধা হলেই সাধারণ মানুষ চলচল করতে ভয় পেত।ছিচকে চোর থেকে শুরু করে ডাকাতি সহ হত্যার মতো ঘটনা ঘটতো এই স্থান । ঠিক তখনি শাহপুর গ্রামের কালাম নামে এক ব্যাক্তি একটি চা পানের দোকান পাশাপাশি সাইকেল মেরামতের দোকান খুলে বসে।সকাল থেকে শুরু করে রাত অবদি চলতো খোলা দোকানটি।বন্ধ হয় সন্ধা রাতের সকল ধরনের ছিনতাই ডাকাতি। সাধারণ মানুষ নিশ্বাস ছেড়ে শুরু করে চলাচলের। হটাৎ করে ষ্টোক জনিত কারণে মৃত্যু বরন করেন কালাম হোসেন। রেখে যায় দুই মেয়ে এক ছেলে সহ স্ত্রী লতিফা বেগম কে।নেমে আসে লতিফার পরিবারে এক কালো অধ্যায়। তিন ছেলে মেয়ে নিয়ে না খেয়ে পথে পথে ঘুরতে থাকে শিশু সন্তানটিকে কলে নিয়ে। ঠিক তখনি স্থানীয়রা লতিফাকে সরকারী রাস্তার হালট জাম গাছের নিচে কালামের তৈরী করা দোকানে নতুন করে চা পান বিক্রি করার ব্যাবস্থা করে দিলে সেখানেই শুরু হয় লতিফার জীবন যুদ্ধ। দীর্ঘ এক যুগ পর সরকারি খালের উপর ও রাস্তার হালট দখলের প্রস্তুতি নিয়ে লতিফার দোকান ভাঙ্গচুর করে খাল ভরাট করে দোকান তৈরীর কাযক্রম শুরু করেন পাশের জমির মালিক নিসার দফাদার।সরেজমিনে ঘুরে কথা হয় স্থানীয় চাষিদের সাথে তারা জানান,লতিফা অসহায় একটা মেয়ে স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকে আমরা তার দুঃখ দেখে সরকারি রাস্তার হালটে চা পানের দোকান নতুন করে শুরু করতে বলি।আর সেই থেকে এক যুগ এখানে চা পান বিক্রি করে আসছে। এবং তার দোকানের নিচ দিয়ে খাল সেই খাল দিয়ে দশটা গ্রামের বৃষ্টি ও বন্যার পানি বের হয়।হঠাৎ করে খাল ভরাট করে দোকান তৈরী করতে শুরু করে নিসার দফাদার। এবং অসহায় লতিফার দোকান ভাঙ্গা শুরু করে । আমরা এলাকা বাসী সরকারের নিকট দাবী জানয় সরকারি রাস্তা ও খাল দখল করে যে ঘর করছে সেটা যেন নজরে এনে বন্ধ করে। এবিষয়ে লতিফার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, স্বামীর মৃত্যুর পরে আমি যখন কোন কূল না পায় তখন গ্রামের মানুষ স্বামীর দোকান টা পুনরায় চালানোর জন্য বললে আমি আবার তিন শিশু সন্তান কে সাথে নিয়ে নতুন করে চা পানের দোকান শুরু করলেও এখান থেকে যে রোজগার হয় তাতে দুই বেলা খাবার হয় না । তবুও গ্রামের মানুষ আমাকে সহযোগিতা করে তাদের সহায়তা নিয়ে বেচে আছি। হঠাৎ নিসার দফাদার আমাকে উচ্ছেদের ষড়যন্ত্র করে আমার দোকানের নিচে দোকান করে বেচে থাকার শেষ সম্বল টুকু কেড়ে নিলে আবারও পথে বসতে হবে। না খেয়ে মরতে হবে তিনটি সন্তান নিয়ে। আমি বেচে থাকার জন্য এই স্থানটুকুতে চা পান বিক্রি করে খেতে পারি সেই ব্যাবস্থা করতে সরকারের সংশ্লিষ্টদের নিকট সাহায্য কামনা করি।
নিসার গং দের দাবী খালের নিচে আমাদের জমি আর খালের উপর সরকারি রাস্তা সে জন্য সরকারী হালট দখলে কোন বাধা নাই আমাদের। এজন্য আমরা খাল ভরাট করে এই দোকান করছি৷ এখানে লতিফা কেন বাধা দিবে।
মোবাইল নংঃ ০১৭৬১৫৭৩৩৫৭


About The Author

Related posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: কপি থেকে বিরত থাকুন,ধন্যবাদ।