রবিবার, ৫ মে ২০২৪

সদ্যপ্রাপ্ত সংবাদ
কলারোয়ায় এক কলেজে ৩ ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ
কলারোয়ায় এক কলেজে ৩ ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ

কলারোয়ায় এক কলেজে ৩ ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ

নতুন সূর্য ডেস্কঃ

কলারোয়ায় এবার এক কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের পদ নিয়ে ৩ জনের মধ্যে টানাটানি শুরু হয়েছে। ওই সুযোগে দুইজন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের পদে দায়িত্ব পালন করতে দেখা যাচ্ছে।

ঘটনার বিবরণে জানা গেছে-কলারোয়ার শেখ আমানুল্লাহ ডিগ্রী কলেজের শিক্ষকদের মধ্যে দলাদলির কারণে কলেজের সুনাম ভেস্তে যেতে বসেছে। কলেজ প্রতিষ্ঠার পর থেকে ভুয়া কাগজপত্র দিয়ে একাধিক শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়। যার কারণে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে একাধিক অভিযোগে অযোগ্য শিক্ষক ও নারী লোভীদের কারণে শিক্ষার পরিবেশ একেবারে নষ্ট হতে বসে। ঠিক সেই সময় ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেয়া হয় ওই কলেজের সহকারী অধ্যাপক ব্যবস্থাপনা বিভাগের তুতিয়া খাতুনকে।

তিনি কয়েকদিন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করে নিজেকে অসুস্থ দেখিয়ে আর পেরে উঠছেন না বলে প্রচার করেন এবং তিনি ওই কলেজের অধ্যাপক আবুল খায়েরকে দায়িত্ব দিয়ে তার পদ থেকে সরে দাঁড়ান। এর কয়েক মাস পরে কলেজ পরিচালনা পরিষদের কাছে অযোগ্য ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বিবিচিত হওয়ায় আবুল খায়েরকে তার পদ থেকে অব্যহতি দিয়ে অধ্যাপক মনিরা বেগমকে দায়িত্ব দেয়া হয়। আর সেই থেকে তিনি সুনামের সাথে ওই কলেজে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। কিন্তু এতে খুশি নন ওই কলেজের কিছু সুবিধাভোগী শিক্ষকরা। তারা বলছে-মনিরা বেগম ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্বে থাকলে তাদের কোন অন্যায় আবদার গ্রহন করবেন না। তাই তারা এবার দলবদ্ধ হয়ে মাঠে নেমেছে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মনিরা বেগমকে পদ থেকে সরিয়ে দিতে। গোপনে তারা একের পর এক মিথ্যা ও হয়রানী মূলক তথ্য সরবরাহ করে কলেজ ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির মাথা ঘুরিয়ে দিয়েছে। সে কারনে এককভাবে একক সিদ্ধান্তে আবারও কলেজ সভাপতি ওই কলেজের পূর্বের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ তুতিয়া খাতুনকে দায়িত্ব দেন। তিনি একক সিদ্ধান্তে ওই দায়িত্ব পাওয়ার চিঠি পেয়ে কলেজের কাগজপত্র বুঝিয়ে না নিয়ে তার আগেই কলেজে গিয়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের নেমপ্লেট পাল্টিয়ে দেন। এমনকি কলেজের আইসিটি ল্যাবসহ সকল তালা পাল্টিয়ে ফেলেন। এতে করে তিনি সাতক্ষীরা আদালতের একটি মামলায় জড়িয়ে পড়েন। জবাব দিতে দিতে নাজেহাল হয়ে পড়েছেন।

এই সুযোগে ওই কলেজের অধ্যাপক আবুল খায়ের শিক্ষার্থীদের বিকাশ একাউন্ট খোলার জন্য ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের সিল মেরে নিজেই স্বাক্ষর করে প্রত্যয়ন পত্র দিচ্ছেন। এদিকে সদ্য ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব নেয়া তুতিয়া খাতুনের বিরুদ্ধে আদালতে একটি দেং-১৮৮/২০ নং মামলা হয়। ওই মামলায় ১৩ডিসেম্বর-২০তারিখের আদেশের কার্যকারিতা স্থগিত করেন। একই সাথে পূর্বে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মনিরা খাতুনের পদ বহাল রাখেন। কিন্তু আদালতের আদেশ অমান্য করে তুতিয়া খাতুন তার সকল কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করলেন মামলার বাদী মনিরা খাতুন। তিনি আরও বলেন আদালতে মামলা করায় আদালত তুতিয়া খাতুনের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের পদ বিধি মোতাবেক না হওয়ার কারনে তার সকল কার্যক্রম স্থগিত করেন। এর পরেও তিনি রুপালী ব্যাংকে গত ১০জানুয়ারি কলেজের বিল জমা দেন এবং সেই বিল তিনদিন ধরে উত্তোলন করেন। এখনো পর্যন্ত তিনি কলেজের ওই চেয়ারে বসে তার সকল কার্যক্রম বহাল তরিয়াতে চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি এবিষয়ে জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

সূত্রে. পত্রদূত।

About The Author

Related posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: কপি থেকে বিরত থাকুন,ধন্যবাদ।