আকাশ মল্লিক:
বাগেরহাটের ফকিরহাটের ভৈরব নদীতে খুলনা ওয়াসার পাইপ স্থাপনে কর্তৃপক্ষের অবহেলা ও উদাসীনতার কারনে ভৈরব নদীতে নৌযান চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে।
জানা গেছে, খুলনা ওয়াসার পানি শোধনাগার প্রকল্পের আওতায় জাইকা ও এডিবির অর্থায়নে নগরীতে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের জন্য মোল্লাহাটের মধুমতি নদী থেকে খুলনা ওয়াসা পর্যন্ত একটি মোটা পাইপ লাইন তৈরী করা হয়েছে। পানির ওই পাইপ লাইটি ফকিরহাটের বিশ্বরোড সংলগ্ন ভৈরব নদীর ভিতর থেকে পাইপ নেয়া হয়েছে। ওয়াসা কর্তৃপক্ষ এই পানির পাইপটি যখন ভৈরব নদীর ভিতর বসিয়েছিলো তখন স্থানীয়রা ওই কাজে বাঁধা দিয়েছিল। পানির পাইপটি মাটির গভীর থেকে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলো। কিন্তু ওয়াসা কর্তৃপক্ষ কারো কথা তোয়াক্কা না করে দায়সারাভাবে পাইপ বসিয়ে যায়। কিছুদিন যেতে না যেতেই সদ্য নদী খননের পর পাইপটি জেগে উঠে। পরে ওয়াসা কর্তৃপক্ষ পাইপের উপর লোহারপাত দিয়ে রেলিং তৈরি করে নদীতে ব্যারিকেড সৃষ্টি করে। ব্যারিকেড ও পাইপে কারনে নদী থেকে কোন নৌযান চলাচল করতে পারেনা। রাতের আধারে কোন নৌযান আসলে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা ও রয়েছে। পাশাপাশি এর ফলে সদ্য খনন করা ১৮ কি.মি নদীর নাব্যতা হ্রাসের আশঙ্কা ও রয়েছে।
এ বিষয় জানতে চাইলে খুলনা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আব্দুল্লাহ জানান, বিষয়টি ইতিমধ্যে আমরা অবগত হয়েছি। মেরামতের জন্য যেসব ম্যাটেরিয়াল প্রয়োজন তা চীন থেকে আনতে হবে। করোনা মহামারীর কারনে চীন থেকে কোন ম্যাটেরিয়াল আসছে না। আসলে খুব দ্রুত সময়ে পাইপ লাইটি ঠিক করে নৌযান চলা চলের উপযোগী করা হবে।