শনিবার, ৪ মে ২০২৪

সদ্যপ্রাপ্ত সংবাদ
আজ মানবতা অধিকার কোথায়!
আজ মানবতা অধিকার কোথায়!

আজ মানবতা অধিকার কোথায়!

আহসান উল্লাহ, খোরদো (কলারোয়া) প্রতিনিধি:

একটি ডিজিটাল দেশে শ্রমের মজুরি এত কম! ভাবতেই অবাক লাগে। এখনো ৩২৫০এবং ৩৫০০টাকা মাসিক বেতনে সরকারি পোশাক গায়ে প্রজাতন্ত্রের 119 ধরনের কাজের দায়িত্বে নিয়োজিত আছে দেশের প্রায় ছয়চল্লিশ হাজার গ্রাম পুলিশ সদস্য। প্রতিজন গ্রামপুলিশের যেন কাজের শেষ নেই। দিনে ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান মেম্বারের কাজ । রাতে থানার সাথে পুলিশের কাজ। তাছাড়া নানা ধরনের তথ্য সংগ্রহের কাজ তো আছেই। সামান্য ভুল ত্রুটি করলেই বকাঝকার যেন অন্ত নাই। মুখে অনেক বড় বড় মহোদয়রা বড় বড় কথা বলে থাকেন । কিন্তু এই অধিকার বঞ্চিত অসহায় মানুষ গুলোর দিকে কেউ ফিরে তাকায় না। এদেশে মানবের অধিকার প্রতিষ্ঠায় গঠিত হয়েছে অসংখ্য মানবাধিকার সংগঠন। তারা নাকি অধিকার বঞ্চিত মানুষের অধিকার আদায় করে দেয়। আজ কোথায় সেই মানবাধিকার? স্বাধীন দেশে গ্রাম পুলিশ কেন আজও পরাধীন? নামমাত্র মজুরি দিয়ে গাধার খাটুনি খাটানো হচ্ছে এই সকল গরীব অসহায় মানুষগুলোকে দিয়ে। পৃথিবীর কোন সংবিধানে আছে সরকারি পোশাক পরিহিত একটি বাহিনী প্রজাতন্ত্রের দায়িত্ব পালন করে শ্রম-মজুরি হতে বঞ্চিত থাকবে? মানব অধিকার সংস্থাগুলি কি এই অসহায় মানুষগুলোকে চোখে দেখেনা নাকি আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিতে হবে ? আসলে তাদেরকেই বা কি বলবো। দেশটাই ভরে গেছে নানা রকম আবর্জনায়। বাঙালি জাতি করোনা কে ভয় পায় না বরং করোনায় ভয় পাই বাঙালি জাতিকে। শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড কথাটি বাঙালি জাতির জন্য কতটুকু গ্রহণীয় ও পূজনীয় তা গ্রামপুলিশ বুঝে গেছে। আমাদের যারা ঠকাচ্ছে তারা শিক্ষিত ও উঁচু তলার মানুষ । মানুষ সবচেয়ে বেশি ঠকে শিক্ষিত মানুষ দ্বারা । জাতীয় পাখি দোয়েল সেও আবর্জনায় মুখ ডুবাই, জাতীয় ফুল শাপলা তাতেও কিলবিল করে কিট, জাতীয় ফল কাঁঠাল যা খাইলে হয় গ্যাস্ট্রিক, জাতীয় মাছ ইলিশ তাও মানুষের ক্রয়সীমার বাহিরে। প্রতিটি মানুষের পবিত্র বাসরঘরে ও এখন দেখা যায় পর পুরুষের পদচিহ্ন। এবার আপনি বলুন আপনি কাকে বিশ্বাস করবেন? বিশ্বাসের প্রতি আজ প্রতিটি মানুষের দারুন অবিশ্বাস। দেখা যাক ভাগ্যে কি লেখা আছে গ্রামপুলিশদের!

About The Author

Related posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: কপি থেকে বিরত থাকুন,ধন্যবাদ।