স্টাফ রিপোর্টার:
সাতক্ষীরা সদরে গাঁজা কিনতে দেয়া ২০০ টাকার জন্য ঘরে ঢুকে নিজের বন্ধুকে ধারালো ছুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে অপর বন্ধু। এ ঘটনায় নিহতের বন্ধু সাগর হোসেনকে (১৫) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শনিবার (১০ এপ্রিল) বিকেলে শহরের পলাশপোলের সরকারি গোরস্থানের সামনে থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার সাগর হোসেন শহরের রসুলপুর এলাকার শহিদুল ইসলামের ছেলে। নিহত সালাহউদ্দীন আহমেদ (১৪) সদরের কাশেমপুর মালিপাড়া গ্রামের শাহজান আলী ওরফে বাবু সরদারের ছেলে।
এর আগে শনিবার (১০ এপ্রিল) বেলা দেড়টার দিকে সাতক্ষীরা শহরতলীর কাশেমপুর মালিপাড়া এলাকায় নিজ ঘর থেকে সালাহউদ্দীনের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে।
সাতক্ষীরার গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক ইয়াসিন আলম চৌধুরী জানান, ঘাতক সাগর হোসেনকে শনিবার বিকেলে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী শহরতলির লাবসা বাইপাসের কাছে একটি গ্যারেজ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ধারালো ছুরি জব্দ করা হয়েছে। তার দেয়া জবানবন্দি অনুযায়ী শুক্রবার রাত ৩টায় সে তার বন্ধু সালাউদ্দিনকে হত্যা করে।
জবানবন্দির বরাত দিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘বন্ধু সাগর হোসেন সালাউদ্দিনের কাছে গাঁজা কেরনার জন্য ২০০ টাকা দিয়েছিল। কিন্তু সালাউদ্দিন গাঁজা কিংবা টাকা কোনোটাই ফেরত না দেয়ায় সে তাকে খুন করেছে বলে জানিয়েছে। তাকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।’
বিজ্ঞাপন
বিচার দাবি করে নিহতের বোন রীতা মনি বলেন, ‘সব সময় এক সঙ্গ ঘুরত সাগর ও সালাউদ্দীন। গতকাল রাতে তারা দু’জন একই কক্ষে ছিল। প্রতিবেশী অনেকেই তা দেখেছে। দুপুরে পুলিশ যখন আমার ভাইয়ের মরদেহ উদ্ধার করে, তখন বাইরে থেকে তালা মারা ছিল। সুতরাং এই খুন সাগরই করেছে।’
সাতক্ষীরা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) শামসুল হক শামস ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ নিহত সালাউদ্দীনের মরদেহ উদ্ধার করেছে। তাকে গলা কাটা অবস্থায় পাওয়া গেছে। পুলিশ হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি ছুরি উদ্ধার করেছে। হত্যাকারী সাগর হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘ওই এলাকায় একটি কিশোর গ্যাং গড়ে উঠেছে বলে শোনা যাচ্ছে। সালাউদ্দীন হত্যাকাণ্ডে বিষয়টি সামনে এসেছে। বিষয়টি পুলিশের মাথায় রয়েছে।’