রবিবার, ৫ মে ২০২৪

সদ্যপ্রাপ্ত সংবাদ
দুই প্রতিষ্ঠানের দুই ডোজ দেওয়ার বিষয়ে যা বলল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
দুই প্রতিষ্ঠানের দুই ডোজ দেওয়ার বিষয়ে যা বলল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

দুই প্রতিষ্ঠানের দুই ডোজ দেওয়ার বিষয়ে যা বলল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

নতুন সূর্য ডেস্কঃ

অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার মাধ্যমে গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে দেশে টিকাদান কর্মসূচি শুরু করা হয়েছিল। ৫৮ লাখের কিছু বেশি মানুষকে টিকা দিয়ে গত ২৬ এপ্রিল দেশের টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া স্থগিত করা হয়। বর্তমানে মজুদ টিকা দিয়ে সর্বোচ্চ সাড়ে চার লাখ দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেওয়া সম্ভব হবে। এরপরও এই ডোজ থেকে বঞ্চিত হবেন প্রায় সাড়ে ১৪ লাখ (১৪ লাখ ৩৯ হাজার ৮২৪) মানুষ। 

রোববার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বুলেটিনে অধিদপ্তরের রোগনিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক (সিডিসি) অধ্যাপক নাজমুল ইসলাম জানান, এই সপ্তাহ শেষে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার মজুদ একেবারেই ফুরিয়ে যাবে। টিকার ঘাটতি থাকায় প্রথম ডোজ নেওয়াদের মধ্যে ১৫ লাখ মানুষের টিকার দ্বিতীয় ডোজ পেতে দেরি হতে পারে।

বাংলাদেশ ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে ৩ কোটি ডোজ অক্সফোর্ডের করোনা টিকা সরবরাহের চুক্তি করেছিল। সেরাম ইনস্টিটিউট এবং বাংলাদেশের বেক্সিমকো ফার্মার চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশকে প্রতি মাসে ৫০ লাখ ডোজ টিকা সরবরাহ করার কথা ছিল। কিন্তু ভারতে করোনা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় টিকা সরবরাহে বিঘ্ন ঘটে। উপায় না দেখে বাংলাদেশও বিকল্প পথ বেছে নেয়। জরুরি ভিত্তিতে টিকার জন্য চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তি করেছে বাংলাদেশ। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের কাছে টিকা চেয়ে অনুরোধ জানানো হয়েছে। যুক্তরাজ্যের কাছ থেকেও ১৬ লাখ ডোজ টিকা চেয়েছে বাংলাদেশ সরকার।

ইতোমধ্যেই উপহার হিসেবে চীনের পাঁচ লাখ সিনোফার্ম টিকা দেশে এসেছে। বাংলাদেশকে আরও ছয় লাখ টিকা উপহার হিসেবে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে চীন। 

এমন পরিস্থিতিতে মিক্সড করে টিকা দেওয়ার বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা বলেন, মিক্সড করে (দুই ডোজ দুই প্রতিষ্ঠানের) টিকা কার্যক্রমের কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, এফডিএসহ তারা যদি এই ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে আমরাও সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব। 

তিনি আরও বলেন, নতুন করে টিকা না পেলে ১৫ লাখের কাছাকাছি মানুষের দ্বিতীয় ডোজের টিকা পেতে বিলম্ব হবে। সরকার যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের যে বাড়তি টিকাগুলো আছে, সেগুলো থেকে আমাদের ঘাটতি টিকা পাওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। আমরা আশাবাদী, খুব শিগগিরই এই সমস্যার সমাধান হবে।

অধিদপ্তরের এই কর্মকর্তা বলেন, বিভিন্ন উৎস থেকে টিকা পেতে চেষ্টা চলছে। টিকার ব্যবস্থা হলে বন্ধ হয়ে যাওয়া টিকার প্রথম ডোজের কার্যক্রমও শুরু করা হবে।

About The Author

Related posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: কপি থেকে বিরত থাকুন,ধন্যবাদ।