শেখ মারুফ হোসেন, বিশেষ প্রতিবেদক
বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ইয়াস গতি বাড়িয়ে স্থলভাগের দিকে ধেয়ে আসছে । ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে সকাল থেকে জেলার বিভিন্ন এলাকায় থেমে থেমে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হয়েছে ।
ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ ধেয়ে আসার খবরে আতঙ্ক বিরাজ করছে ‘আম্ফান’ বিধ্বস্ত সুন্দরবন সংলগ্ন উপকূলবাসীর। নদী তীরবর্তী বেড়িবাঁধ সংলগ্ন বাসিন্দারা আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে উপকূলের মানুষের মধ্যে জলোচ্ছ্বাস এবং জোয়ারে পানি বৃদ্ধির ফলে বেড়িবাঁধ ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা ।
শ্যামনগর উপজেলার পদ্মপুকুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান জানান, জোয়ারে নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় কয়েকটি বেড়িবাঁধ ছাপিয়ে লোকালয়ে পানি ঢুকতে শুরু করেছে।
গাবুরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাসুদুল আলম বলেন, ইউনিয়নটিতে গত আম্ফানে বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে পানি ঢুকে প্লাবিত হয়েছিল। গাবুরা ইউনিয়নটি সম্পূর্ণ একটা দ্বীপ হওয়ায় চারিপাশ থেকেই পানির চাপ থাকে। ইউনিয়নটিতে ১৫টি সাইক্লোন শেল্টার প্রত্যেকটি প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
সাতক্ষীরা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। উপকূলীয় ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার লোকজনদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিতে মাইকিং করা হচ্ছে।
জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল জানিয়েছেন, দুর্যোগ মোকাবেলায় ১৪৫ টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র ও ১৫০০ স্কুল কলেজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া ১৮৩ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য মজুদ রাখা হয়েছে। একই সাথে দুই কোটি ১৫ লাখ টাকার নগদ অর্থ সহায়তার জন্য রাখা হয়েছে। পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট ও ওয়াটার ট্যাংকি প্রস্তুত রয়েছে। শ্যামনগর ও আশাশুনিতে ৪ হাজার ৮৮০ জন স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া প্রস্তুত রয়েছে পুলিশ, আনসার, বিজিবি ও স্বাস্থ্য বিভাগের সদস্যরা।
ইয়াস ভারতের উড়িষ্যা ও পশ্চিমবঙ্গ উপকূলের দিকে অগ্রসর হচ্ছে, দেশের সমুদ্রবন্দর গুলোতে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত জারি করেছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।