শনিবার, ১৮ মে ২০২৪

সদ্যপ্রাপ্ত সংবাদ
ইয়াসের প্রভাবে খুলনার উপকূলে ঝড়ো বাতাস, ভয় জোয়ারে
ইয়াসের প্রভাবে খুলনার উপকূলে ঝড়ো বাতাস, ভয় জোয়ারে

ইয়াসের প্রভাবে খুলনার উপকূলে ঝড়ো বাতাস, ভয় জোয়ারে

নতুন সূর্য ডেস্কঃ

ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে খুলনার উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো বাতাস প্রবাহিত হচ্ছে। সেই সাথে থেমে থেমে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। বুধবার সকাল ১০টায় খুলনায় বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টা ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার। মাঝে মধ্যে বাতাসের গতিবেগ আরও বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় (সকাল ৯টা পর্যন্ত) বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ২০ মিলিমিটার। 

নদীতে জোয়ার না থাকায় এখনও বেড়িবাঁধে পানির চাপ তৈরি হয়নি। তবে বেলা ১১টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত ভরা জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের তুলনায় ৩ থেকে ৬ ফুট অধিক উচ্চতায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার আশংকা রয়েছে। স্থানীয়রা বলছেন, ঘূর্ণিঝড় থেকেও জোয়ারের সময় জলোচ্ছ্বাসে বাঁধ টিকিয়ে রাখাই এখন উপকূলে বড় চ্যালেঞ্জ। 

এদিকে, মঙ্গলবার রাতে জোয়ারের সময় খুলনার কয়রার ঘাটাখালি, মহারাজপুর, দক্ষিণ বেতকাশি ও মহেশ্বরীপুরে বেড়িবাঁধ উপচে লোকালয়ে পানি ঢুকেছে। বুধবার সকাল থেকে ১০টি পয়েন্টে মাটি দিয়ে বাঁধ মেরামতের চেষ্টা করছেন এলাকাবাসী। 

কয়রা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইমতিয়াজ হোসেন জানান, মূল ভয়টা হচ্ছে বুধবার দুপুরে ভরা জোয়ারের সময় অতিরিক্ত পানির চাপ বাড়লে বাঁধ টিকিয়ে রাখা কষ্টকর হবে। 

তিনি বলেন, মঙ্গলবার রাতের জোয়ারে দুই-তিন ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়ে মহারাজপুর মঠবাড়ি, দক্ষিণ বেতকাশির আংটিহারা ও মাটিভাঙ্গা পয়েন্টে বাঁধ উপচে লোকালয়ে পানি ঢুকেছে। বৈরি আবহাওয়ায় বাতাসের গতিবেগ ও জোয়ারের পানি বৃদ্ধিতে জরাজীর্ণ বেড়িবাঁধে চাপ বাড়ছে।

পাইকগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী জানান, মঙ্গলবার রাত ১টার দিকে পাইকগাছার দেলুটি চকরি বকরি, কপিলমুনি সিলেমানপুর ও গড়ইখালি খুতখালি পয়েন্টে বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি ঢুকেছে। এর মধ্যে গত সপ্তাহে দুই লাখ টাকা ব্যয়ে সিলেমানপুর পয়েন্টে বাঁধ মেরামত করা হয়েছিল। কিন্তু রাতের জোয়ারে পানি অতিরিক্ত চাপে তা আবারও ভেঙে গেছে। 

তিনি বলেন, সোলাদানা ইউনিয়নের নারকেলতলা, বরইতলাসহ বেশ কয়েকটি পয়েন্টে বাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। ভরা জোয়ারের সময় আবারও জলোচ্ছ্বাস তৈরি হলে ভয়াবহ অবস্থা তৈরি হবে। মাইংকিং করে এলাকাবাসীকে সতর্ক করা হচ্ছে। দাকোপে কামিনীবাসিয়া, মোজামনগর, গৌর কাঠি, মৌখালি পিচের মাথা, পানখালি পুরাতন খেয়াঘাট, জাবেরের খেয়াঘাট ও খলিসা পয়েন্টে বেড়িবাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। স্থানীয়দের সহায়তায় ঝুঁকিপূর্ণ ৯টি পয়েন্টে জরুরি ভিত্তিতে মেরামত কাজ করা হচ্ছে। 

খুলনা আবহাওয়া অফিসের প্রধান কর্মকর্তা মো. আমিরুল আজাদ জানান, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে। মাঝে মধ্যে মাঝারি আকারের বৃষ্টিপাত হচ্ছে। সেই সাথে ঝড়ো বাতাস প্রবাহিত হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় অতিক্রমকালে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৮০ থেকে ১০০ কিলোমিটার হতে পারে বলে জানান তিনি।

About The Author

Related posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: কপি থেকে বিরত থাকুন,ধন্যবাদ।