শেখ শাহাজাহান আলী শাহিন:
কলারোয়া বাসীর জীবন এখন যায় যায় অবস্থা। পবিত্র রমজানের শেষে কয়েক ঘূর্ণিঝড় “যশ” প্রস্ততি নিতে গিয়ে আম অগ্রিম করতে হয়েছে তাতে করে সঠিক মূল্য না পেয়ে হতাশ অনেক আম চাষীরা। তারপর মহামারী করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ার ফলে আয় কমে যাওয়ার সাথে সাথে দ্রব্যমূল্যের বৃদ্ধি, করোনা সংক্রমন রোধে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য সঠিক ভাবে কাজ করতে না পারা, সাথে অসহনীয় গরম পড়ছে, এতে করে মানুষের জীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। এর সাথে যোগ হয়েছে কলারোয়া পল্লী বিদ্যুের লুকোচুরি খেলা বাদ দিয়ে নেমে পড়েছে ৩৩ কেভির দোহায়। জনমনে প্রশ্ন, আর কত দিন লাগবে ৩৩ কেভির কাজ শেষ করতে? করোনা প্রতিরোধে যখন লকডাউন, সাথে বৈরি আবহাওয়ার কারনে তীব্র তাপদাহ ঠিক তখনই বিদ্যুৎ বিভাগের মাইকিং ” সকাল ৮ টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত৷ বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে। বিদ্যুৎ বিভাগের কেউ কি কিছু বুজে কি এই সিদ্ধান্ত নেন? জনগন কে কষ্ট দিতে কি মজা পান? আবার মাঝে মাঝে গাছ অথবা ডাল কাটার জন্য মাইকিং করে বিদ্যুৎ বন্ধ রাখা হয়, দেখা যায় আকাশে মেঘ উঠার আগেই বিদ্যুৎ উধাও। তাহলে গাছের ডালপালা কেটে লাভ কি? শনিবার থেকে লকডাউন এটা প্রশাসন থেকে আগেই প্রচার করা হয়েছে, তারপর তীব্র গরমে জীবন সহ সকল প্রাণীকুল অতিষ্ঠ ঠিক তখনই বিদ্যুৎ বিভাগের মাইকিং ” সকাল ন’টায় থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ বন্ধ রাখা হবে। বিদ্যুৎ বিভাগের দায়িত্বশীলরা কি কিছুই জানেন না? আবার সময় নির্ধারনে বিদ্যুৎ বিভাগ খুবই সচেতন। জনগন ফুসছে বিদ্যুৎ বিভাগের উপর। সাধারণ জনগন, করোনা মোকাবিলায় লকডাউন মেনে নিয়েছে, কিন্তু বিদ্যুৎ বিভাগের এই সেবা থেকে রক্ষা পেতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। কলারোয়া বাসী এখন জনদূর্ভোগের চরমসীমার মধ্যে বসবাস করছে।