শেখ খায়রুল ইসলাম পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধিঃ
পাইকগাছা উপজেলার দক্ষিন সোনাতনকাঠী-আলহেরা মাদ্রাসার সুপার মাওঃ আজগর আলী খাঁ এর বিরুদ্ধে ব্যাপক দুর্নীতি ও স্বজন প্রীতির অভিযোগ উঠেছে। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ এনে রবিবার দুপুরে কপিলমুনিতে মাদ্রাসার জমিদাতারা এক সংবাদ সম্মেলন করেন।
জনাকীর্ন সংবাদ সম্মেলনে জমি দাতাদের পক্ষে জমি দাতা রেখা বেগমের স্বামী সাবেক ১ নং হরিঢালী ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোঃ আকবর আলী মোড়ল লিখিত বক্তব্যে বলেন,আমার মা,স্ত্রী,ও ভ্রাতুষপত্নী এই মাদ্রাসাটি প্রতিষ্টার জন্য -৩২ শতক জমি দান করে। অথচ মাদ্রাসা সুপার ভূয়া কাগজ পত্র তৈরি করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ভুল বুঝিয়ে সেখানে ৭৪ শতক জমি দান দেখিয়ে মাদ্রাটি প্রতিষ্টা করেন। প্রতিষ্টালগ্ন থেকে মাদ্রাসা সুপার ব্যাপক দুর্নীতি চালিয়ে যাচ্ছেন। এ বছর দাখিল পরীক্ষার জন্য তিনি বহিরাগত অকৃকার্য শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে টাকা নিয়ে ফরম ফিলাপ করেছেন।এ ছাড়া ২০০৪ সালের পর মাদ্রাসার বিভিন্ন পদে নিয়োগ দেখিয়ে তিনি অর্থ আত্মসাৎ করেন। এ মাদ্রাসায় চাকরি করেন না এমন লোক তালিকা ভুক্ত করে সরকারী অনুদান গ্রহন করেছেন। এ ছাড়া অন্য প্রতিষ্টানে চাকরি রত অনুদান ভোগী শিক্ষকদের মাদ্রাসায় বিভিন্ন পদে নিয়োগ দেয়ার কথা বলে তাদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেন। লিখিত বক্তব্যে আরও বলেন-২০১৮-১৯ অর্থ বছরে মাদ্রাসার সংস্কার মূলক কাজের জন্য বরাদ্ধকৃত সরকারী টাকা আত্মসাৎ করেন।ছোট ভাই মাদ্রাসার নৈশপ্রহরী হায়দার মোড়লকে চাকরি এমপিও ভুক্ত করার নামে তার কাছ থেকে বড় অংকের টাকা হাতিয়ে নিলেও সেটা করেননি তিনি। জমি দাতাদের অজ্ঞাতে নিজের লোকদের নিয়ে ম্যানেজিং কমিটি গঠন করে মাদ্রাসার সকল অর্থ আত্মসাৎ করেছেন এবং করোনা ভাইরাসের অনুদানের টাকাও উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন। তার এই ব্যপক দুর্নীতির কারণে প্রতিষ্টানটি ধ্বংসের দারপ্রান্তে বলে তিনি জানান।
তিনি আরো বলেন, সুপারের নানা দুর্নীতির বিরুদ্ধে তিনি সহ তার ছোট ভাই এবং এলাকার ইদ্রিস আলী খাঁন বিভিন্ন সময়ে পৃথক পৃথক ভাবে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে ০৩ টি দরখস্ত দেয়া হয়। তিনি তদন্তের জন্য উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিলেও আজ পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে কোন তদন্ত করা হয়নি বলে অভিযোগ করেন।