মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪

সদ্যপ্রাপ্ত সংবাদ
সোনাবাড়ীয়ায় ইউপি নির্বাচনে ভোটের হাওয়া আ’লীগের ৩ বিএনপির ২
সোনাবাড়ীয়ায় ইউপি নির্বাচনে ভোটের হাওয়া আ’লীগের ৩ বিএনপির ২

সোনাবাড়ীয়ায় ইউপি নির্বাচনে ভোটের হাওয়া আ’লীগের ৩ বিএনপির ২

নতুন সূর্য ডেস্কঃ
আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে কলারোয়া উপজেলার ৬নং সোনাবাড়ীয়া ইউনিয়নে শুরু হয়েছে তোড়জোড়। হাট বাজারে চায়ের দোকানে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। সেই সাথে সম্ভাব্য প্রার্থীরাও মাঠ পর্যায়ে গণসংযোগ বাড়িয়েছেন, লবিং শুরু করেছেন দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশায়।নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা না হলেও ইতোমধ্যে সোনাবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীরা প্রার্থিতার জানান দিতে অগ্রীম ব্যানার ফেস্টুন ও প্যানা বোর্ড টানিয়েছেন। নির্বাচনকে সামনে রেখে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের কেউ কেউ ভোটারদের দিচ্ছেন আগাম প্রতিশ্রুতি। এছাড়াও নানা কৌশল অবলম্বন করে ভোটারদের অনুকূলে নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন অনেকেই। সেই সাথে দলীয় সমর্থন পেতে চলছে তদবির।সেক্ষেত্রে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের একাধিক প্রার্থীকে মাঠে দেখা গেছে৷ সেই সাথে মাঠে রয়েছেন দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীরাও। জানা গেছে, আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আবারও নৌকার প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিতে চান সোনাবাড়ীয়া ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম মনিরুল ইসলাম ।এদিকে, দলীয় মনোনয়নের প্রত্যাশায় দীর্ঘদিন ধরে প্রচার প্রচারণা ও বিভিন্ন ধরনের সেবা মূলক কাজ নিয়ে মাঠে রয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক আব্দুর রহিম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আলি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি বেনজির হোসেন হেলাল৷অপরদিকে, বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিতে মাঠে থেকে কাজ শুরু করছেন বিএনপি’র মনোনয়ন প্রত্যাশী সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সভাপতি এসএম শহিদুল ইসলাম৷ এছাড়া সোনাবাড়ীয়া ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আকবর আলী বুলবুল বিএনপি’র মনোনয়ন পেলে ইউপি চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করবেন বলে জানা গেছে৷
নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়ে বর্তমান চেয়ারম্যান এসএম মনিরুল ইসলাম বলেন, গত নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হই। আমি জনসাধারণের হয়ে দলমত নির্বিশেষে জনমানুষের পাশে থাকার লক্ষ্যে আবারও নৌকার প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চাই৷ পুনরায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে এলাকার উন্নয়নকল্পে পরিকল্পনায় থাকা রাজপুর হতে শাবানা মোড়, মাদরা হতে রামকৃষ্ণপুর বাজার রাস্তাসহ জনদুর্ভোগপূর্ণ সকল রাস্তা সংস্কারের অসমাপ্ত কাজগুলো পর্যায়ক্রমে সমাপ্ত করার লক্ষ্যে কাজ করে যাব। পাশাপাশি ইউনিয়নের বঞ্চিত আওয়ামী লীগের পরিবারের পাশে দাড়িয়ে দলকে সুসংগঠিত করে মাদক মুক্ত একটি মডেল ইউনিয়ন হিসেবে রূপান্তরিত করব৷
নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী অধ্যাপক আব্দুর রহিম বলেন, নৌকা প্রতীক পেলে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চাই ৷ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি থেকে শুরু করে তৃণমূল পর্যায়ের রাজনীতি থেকে জেনেছি ইউনিয়নে সৎ যোগ্য ব্যক্তির অভাবে সাধারণ মানুষ তাদের নির্দিষ্ট সেবা থেকে বঞ্চিত হয়। তাদের সেই অধিকার ও সেবা নিশ্চিত করতে আমি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চাই৷ নির্বাচিত হলে দুর্নীতিমুক্ত থেকে এলাকার জনমানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়নে শতভাগ সুপেয় পানির ব্যবস্থা করে প্রতিটি পাড়ায় মাদক ও বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে ক্লাব তৈরি করে সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করবো৷ দীর্ঘদিন যাবৎ এলাকার জনদুর্ভোগ পূর্ণ পড়ে থাকা অবহেলিত রাস্তাগুলো সংস্কার করে চঞ্চলের সুবিধা নিশ্চিত করবো। প্রত্যেক মানুষের দোরগোড়ায় ইউনিয়ন পরিষদের সেবা পৌঁছে দেব।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি বেনজির হোসেন হেলাল বলেন, আমি আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান ও সক্রিয়ভাবে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। নৌকার মনোনয়ন পেলে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করবো৷ নির্বাচিত হলে ইউনিয়নবাসীকে সাথে নিয়ে সকল উন্নয়ন কাজ জবাবদিহিতার সাথে বাস্তবায়ন করব। এলাকার যুবসমাজকে মাদকের মতো হিংস্র ছোবল থেকে মুক্ত করে এলাকাবাসীর চাওয়া-পাওয়া ও প্রত্যাশা চিহ্নিত করে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বাস্তবায়ন করে সুন্দর সমাজ গঠন করতে বদ্ধপরিকর থাকবো।
সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সভাপতি এসএম শহিদুল ইসলাম বলেন, সঠিক ও সুষ্ঠু নির্বাচন চাই৷ বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশা করছি। জনসাধারণের ভোটে নির্বাচিত হলে মানুষের ন্যায্য অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবো৷
ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আকবর আলী বুলবুল বলেন, বিএনপি থেকে মনোনয়ন পেলে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব। দল যাকে মনোনয়ন দেবে তার সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করব ৷ তবে দল আমাকে মনোনয়ন দেবে এ ব্যাপারে আমি শতভাগ আশাবাদী৷ মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচিত হলে এলাকার অসহায় বঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের সরকার প্রদত্ত সকল সেবা ও অধিকার নিশ্চিত করবো৷
কলারোয়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মনোরঞ্জন বিশ্বাস জানান, কেন্দ্রীয়ভাবে নির্বাচনী তফশীল ঘোষণা হলেই কলারোয়া উপজেলার সকল ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হবে। সোনাবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদের মোট ভোটার ১৭ হাজার ৪৯৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৮ হাজার ৬৮৫ জন ও মহিলা ভোটার ৮ হাজার ৮১১ জন৷

About The Author

Related posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: কপি থেকে বিরত থাকুন,ধন্যবাদ।