বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০২৪

সদ্যপ্রাপ্ত সংবাদ
যশোর শার্শার বাগআঁচড়া-শংকরপুর সড়ক মরণফাঁদ: চরম ভোগান্তিতে লাখ লাখ জনসাধারণ
যশোর শার্শার বাগআঁচড়া-শংকরপুর সড়ক মরণফাঁদ: চরম ভোগান্তিতে লাখ লাখ জনসাধারণ

যশোর শার্শার বাগআঁচড়া-শংকরপুর সড়ক মরণফাঁদ: চরম ভোগান্তিতে লাখ লাখ জনসাধারণ

আহসান উল্লাহ,খোরদো (কলারোয়া) প্রতিনিধি:

যশোরের শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়া-শংকরপুর সড়কে অবস্থিত বহু পুরাতন জীর্ণ ব্রীজটি ভেঙ্গে গিয়ে মরণফাঁদে পরিণত হয়ে আছে দীর্ঘদিন যাবত। ভাঙ্গা ব্রীজটির উভয় পাশে সারাক্ষণ পথচারী এবং যানবাহনের জটলা বেঁধে থাকে। ফলে চরম ভোগান্তিতে অত্রাঞ্চলের লাখ লাখ মানুষ। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে পথচারী ও যানবাহন।

বাগআঁচড়া বাজার শার্শা উপজেলার বৃহত্তম ও ব্যস্ততম একটি এলাকা। দক্ষিণবঙ্গের বৃহত্তম পশুর হাট, দক্ষিণ বঙ্গের বৃহত্তম ফলের বাজার এবং বৃহত্তম একটি পাইকারী তরকারির হাট অত্র এলাকাতে অবস্থিত। অত্রাঞ্চলের স্বনামধন্য ও বৃহৎ ৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (সরঃ প্রাইমারী স্কুল, সিদ্দীকিয়া সিনিয়ার মাদ্রাসা, সম্মিলিত গার্লস স্কুল ও কলেজ এবং ডাঃ আফিল উদ্দীন কলেজ) বাগআঁচড়ায় অবস্থিত। এছাড়াও এলাকার একমাত্র কাঁচাবাজারটি এই সড়কের পাশে অবস্থিত। পার্শ্ববর্তী ৪টি উপজেলার শতাধিক গ্রামের লাখ লাখ জনসাধারণ শিক্ষা, চিকিৎসা, চাকরী, ব্যবসা-বাণিজ্য, পণ্য ক্রয়-বিক্রয়, ঢাকা ও দূরদূরান্তে যাত্রা সহ নানাবিধ প্রয়োজনে দিনরাত এই বাজারে আসা-যাওয়া করে। এই বাজারের সর্বোচ্চ ব্যস্ততম সড়ক হচ্ছে বাগআঁচড়া-শংকরপুর সড়ক যেটা বেত্রাবতী সড়ক নামে পরিচিত। এই সড়কে অবস্থিত মেয়েদের জন্য অত্রাঞ্চলের সর্ববৃহৎ এবং স্বনামধন্য বিদ্যাপীঠ “বাগআঁচড়া সম্মিলিত গার্লস স্কুল ও কলেজ”। হাজার হাজার শিক্ষার্থী দীর্ঘদিন ধরে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ভাঙ্গা ব্রীজ পার হয়ে যাতায়াত করছে অত্র এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে। তাছাড়া ঝিকরগাছা ও মনিরামপুর এই দুইটি উপজেলার জনসাধারণের বিভিন্ন প্রয়োজনে বাগআঁচড়া বাজারে যাতায়াতের একমাত্র সড়ক এটি। ফলে লাখ লাখ জনসাধারণ নানা প্রয়োজনের তাগিদে বাধ্য হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ভাঙ্গা ব্রীজ পার হয়ে যাতায়াত করছে এই সড়কে। ফলে যেকোনো মুহূর্তে ঘটতে পারে বড় ধরণের দুর্ঘটনা।

বিধায় অত্র এলাকার সর্বস্তরের জনসাধারণ, এই সড়ক ব্যবহারকারী দূরদূরান্তের জনসাধারণ এবং যানবাহনের চালকগণ অতিদ্রুত ব্রীজটি সংস্কার করে জনসাধারণের দুর্ভোগ লাঘব সহ চলাচল নির্বিঘ্ন করার জন্য সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট জোর

About The Author

Related posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: কপি থেকে বিরত থাকুন,ধন্যবাদ।