বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০২৪

সদ্যপ্রাপ্ত সংবাদ
তীব্র দাবদাহে কলারোয়ায় পানির জন্য হাহাকার
তীব্র দাবদাহে কলারোয়ায় পানির জন্য হাহাকার

তীব্র দাবদাহে কলারোয়ায় পানির জন্য হাহাকার

ছবি ইন্টারনেট থেকে

স্টাফ রিপোর্টারঃ

গ্রীষ্মের দাবদাহে কলারোয়া উপজেলা ও পৌরসভার বিভিন্ন স্থানে সুপেয় পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। এসব স্থানে অধিকাংশ নলকূপে পানি উঠছে না। পবিত্র রমজানের মধ্যে তীব্র তাপদাহ আর পানি সংকটে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন এলাকাবাসী।

হাতেগোনা কয়েকটি নলকূপে সামান্য পানি উঠলেও বেশিরভাগ স্থানে নলকূপে পানি উঠছেনা। কলারোয়া পৌর এলাকার তুলশীডাঙ্গা, মির্জাপুর, গদখালী, ঝিকরার  মানুষ পড়েছে চরম পানি সংকটে। যেসব স্থানে পানি উঠছে তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম।

গদখালীর বাসিন্দা মঞ্জিলা জানান, গদখালীর কোনো বাড়ির নলকূপেই পানি উঠছে না। একটিমাত্র নলকূপে পানি ওঠে। ওই নলকূপ থেকে খাবার পানি সংগ্রহ করতে হয়। সেটাও আবার সব সময় পাওয়া যায় না। হাতে কলস ও বালতি নিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে হয়।

পৌর এলাকার তুলশীডাঙ্গার বাসিন্দা মনিরুল ইসলাম বলেন, সুপেয় পানি সংগ্রহ করতে হচ্ছে প্রায় আধা কিলোমিটার দূর জাগরণী চক্র মোড়ের নলকূপ থেকে। সেখানে পানি সংগ্রহ করতে গিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে হয় দীর্ঘক্ষণ। একই অভিযোগ মির্জাপুরের আনোয়ারুজ্জামানের। তিনি জানান, পানি সংকটের কারণে প্রায় পুরো বছর বাইরে থেকে পানি কিনে পান করতে হয়।

জানা যায়, ১৯৯০ সালে প্রতিষ্ঠিত পৌরসভাটিতে এবারই সবচাইতে বেশি পানি সংকট লক্ষ্য করা গেছে। সরকারি নলকূপগুলোও বেশিরভাগ অকেজো হয়ে গেছে। এতে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। খাবার ও ব্যবহারের পানির জন্য তাদের ছুটতে হচ্ছে উৎপাদক নলকূপ স্থাপনকারী উচ্চবিত্ত প্রতিবেশীদের বাড়িতে। অপরদিকে পৌর এলাকায় পাইপলাইনে পানি সরবারাহের জন্য উদ্যোগ নেওয়া হলেও এখনও পানি সরবরাহ করা সম্ভব হয়নি। তুলশীডাঙ্গা গ্রামের দোলন জানান, রাতে এবং ভোরে মোটর চালালে পানি কয়েকদিন ওঠার পর সেটাও অকেজো হয়ে যায়।

পৌরসভার মেয়র মাষ্টার মনিরুজ্জামান বুলবুল পানি সংকটের কারণে পৌরবাসীর কাছে দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, গরমের শুরুতে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় অনেক এলাকার নলকূপে পানি পাওয়া যাচ্ছে না। সাব-মার্সিবল পাম্প স্থাপনের কারণে এ সংকট আরও প্রকট হয়েছে।

তবে পানি সরবরাহ প্রকল্পটি আরও আগে বাস্তবায়নের উদ্যোগ  নেওয়া হলে পৌরবাসী এত দিন ঘরে ঘরে সুপেয় পানি পেত। তবে প্রকল্পের প্রায় শতভাগ কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। আর একটু ধৈর্য্য ধারণের আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, খুব শিঘ্রই পৌরবাসী সুপেয় পানি পেয়ে যাবে এ আশা করি।

About The Author

Related posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: কপি থেকে বিরত থাকুন,ধন্যবাদ।