শুক্রবার, ৩ মে ২০২৪

সদ্যপ্রাপ্ত সংবাদ
ঘূর্ণিঝড় ইয়াস: অস্বাভাবিক জোয়ারে ভেঙে গেল সেন্টমার্টিন জেটি
ঘূর্ণিঝড় ইয়াস: অস্বাভাবিক জোয়ারে ভেঙে গেল সেন্টমার্টিন জেটি

ঘূর্ণিঝড় ইয়াস: অস্বাভাবিক জোয়ারে ভেঙে গেল সেন্টমার্টিন জেটি

নতুন সূর্য ডেস্কঃ

টেকনাফ সেন্টমার্টিনের পর্যটন জেটি আংশিক ভেঙ্গে গেছে। বুধবার (২৬ মে) ভোররাত ও সকালে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস ও পূর্ণিমার অস্বাভাবিক জোয়ারের জেটির বেশিরভাগ অংশ ভেঙ্গে গেছে। জেটির পল্টনে ফাটলসহ জেটির অধিকাংশ রেলিং ও সিঁড়ি বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে।

জানা যায়, সেন্টমার্টিন দ্বীপের প্রায় সাড়ে ১০ হাজার বাসিন্দা ও দ্বীপে বেড়াতে আসা পর্যটকদের সুবিধার্থে ২০০২-০৩ অর্থ বছরে স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তর এলজিইডির তত্ত্বাবধানে প্রায় চার কোটি টাকা ব্যয়ে সাড়ে ৩০০ মিটার দৈর্ঘ্য এ জেটি নির্মাণ করা হয়। এরপর জেটিটি দেখভালের দায়িত্ব দেওয়া হয় উপজেলা এলজিইডির তত্ত্বাবধানে।এরপর ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর ঘূর্ণিঝড় সিডরের আঘাতে জেটির পার্কিং পয়েন্ট সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত ও দুটি গাডার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তখন থেকেই জেটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। তবে প্রতিবছর জেলা পরিষদ এই জেটি ইজারা দিয়ে লাখ লাখ টাকা আয় করলেও কোনো ধরনের মেরামত কাজের হাত দেয়নি। তবে গত বছর কিছু সংখ্যক টাকা ব্যয় করে দুই পাশে দুইটি লোহার পল্টুন স্থাপন করে। এ জেটি ব্যবহার করে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন ও চট্টগ্রাম- কক্সবাজার ও সেন্টমার্টিন নৌপথে ১০টি জাহাজ পর্যটক পরিবহন করে আসছিল। ঐ সকল পর্যটকেরা এই জেটি দিয়ে জাহাজে উঠানামা করতেন।

টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে সার্ভিস ট্রলার মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আলম বলেন, সাগর উত্তাল হয়ে পড়ায় গত রবিবার দুপুর থেকে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে সবধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে দ্বীপে তরিতরকারিসহ খাদ্য সামগ্রীর সংকট দেখা দিতে পারে। জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে। এরসঙ্গে যুক্ত হয়েছে পূর্ণিমার জোয়ারও। এ নৌপথে চলাচলকারী পর্যটকবাহী জাহাজসহ ৪৭টি সার্ভিস ট্রলার, ৩৩টি গান বোট ও ৪৫টি স্পিডবোট পর্যটক পরিবহন করে আসছিল।

সেন্টমার্টিন ইউপির চেয়ারম্যান নুর আহমেদ জানান, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে দ্বীপের উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকের অংশে ভাঙন দেখা দিয়েছে। বেশ কিছু গাছপালা উপড়ে গেছে। রাস্তাঘাট ভাঙছে। জোয়ারের আঘাতে বালিয়াড়িতে থাকা ৫-৮টি ট্রলার ভেঙে গেছে। ঢেউয়ের আঘাতে জেটিটি বিধ্বস্ত হয়েছে।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পারভেজ চৌধুরী জানান, জেটিটি দীর্ঘদিন ধরে জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছিল। অবশেষে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস ও পূর্ণিমার অস্বাভাবিক জোয়ারের ঢেউয়ের আঘাতে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। জেটি বিধ্বস্ত হওয়া বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হচ্ছে।

About The Author

Related posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: কপি থেকে বিরত থাকুন,ধন্যবাদ।