শনিবার, ৪ মে ২০২৪

সদ্যপ্রাপ্ত সংবাদ
স্ত্রীর সঙ্গে বিরোধে ছেলেকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ ডাক্তার বাবার বিরুদ্ধে
স্ত্রীর সঙ্গে বিরোধে ছেলেকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ ডাক্তার বাবার বিরুদ্ধে

স্ত্রীর সঙ্গে বিরোধে ছেলেকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ ডাক্তার বাবার বিরুদ্ধে

নতুন সূর্য ডেস্কঃ

নোয়াখালীতে স্ত্রীর সঙ্গে বিরোধের জের ধরে আব্দুল মালেক মেডিকেল কলেজের ডাক্তার আলাউদ্দিনের বিরুদ্ধে স্কুল পড়ুয়া তার নিজ ছেলেকে গলায় আঘাত করে নির্যাতন ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার রাতে বেগমগঞ্জ থানা পুলিশ চৌমুহনীর একটি বাসা থেকে গুরুতর আহত ছেলেকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। তখন বাসার দারোয়ানকেও আটক করে, পরে রহস্যজনকভাবে ছেড়ে দেয় পুলিশ। এই ঘটনার পর থেকে ডাক্তার আলাউদ্দিন গা ঢাকা দিয়ে রয়েছেন। এর আগে ডাক্তারের স্ত্রী আহত ছেলের মা ডাক্তার আছমাতুন নেছা থানায় মৌখিক অভিযোগ দিলে, পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করে। পরে তাকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে, চিকিৎসা দেওয়া হয়।

ডাক্তার আলাউদ্দিনের স্ত্রী ও আহত ছেলের মা ডাক্তার আছমাতুন নেছা বলেন, ‌‘দীর্ঘ ১৮ বছর আগে কোম্পানিগঞ্জ, বসুরহাটের ডাক্তার আলাউদ্দিনের সঙ্গে সামাজিকভাবে বিয়ে হয়। পেশায় দুইজনেই ডাক্তার, তবে আমি একটি বেসরকারি ক্লিনিকে গাইনি ডাক্তার। সে আব্দুল মালেক মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক (শিশু)। দীর্ঘদিন থেকে সে আমাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে আসছে। প্রতিবাদ করলে চলে নির্যাতন। সম্প্রতি কিছুদিন আগে সে ছেলে-মেয়েকে রেখে আমাকে বাসা থেকে তাড়িয়ে দেয়। তার এসব অত্যাচার ও যৌতুকের বিচার দাবি করে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৩নং আমলি আদালতে একটি পিটিশন মামলা দায়ের করি। এ ছাড়া গত ২৪ মে নোয়াখালী পুলিশ সুপার বরাবরে ডাক্তার আলাউদ্দিনের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। পুলিশ সুপার বেগমগঞ্জ থানাকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়ার ১০ দিন পরেও পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এসব ঘটনায় ডাক্তার ক্ষিপ্ত হয়ে আমার পুত্র নোয়াখালী জিলা স্কুলে নবম শ্রেণির ছাত্র তৌফিক এলাহিকে (১৫) বুধবার রাতে গলায় আঘাত করে ও হত্যার চেষ্টা করে। পরে পুলিশের সহযোগিতায় উদ্ধার করে বর্তমানে তাকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে, বর্তমানে আমি ও আমার দুই সন্তান নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসককে অবগত করে একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।’

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ডাক্তার আলাউদ্দিনের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন নম্বরে বারবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেনি। এ জন্য তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান সিকদার ঘটনার সত্যতা স্বীকার বলেন, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিরোধ রয়েছে। ছেলেকে মারধরের ঘটনায় লিখিত অভিযোগ দিলে, আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

About The Author

Related posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: কপি থেকে বিরত থাকুন,ধন্যবাদ।