সালেক সুফী
চট্টগ্রামের সাগরিকার জহুর আহমেদ চৌধুরী ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আজ টিম টাইগার্সদের অগ্নি পরীক্ষা। শ্রীলংকার ৫৩১ রানের জবাবে ব্যাটিং করতে নেমে দ্বিতীয় দিনশেষে মাহমুদুল হাসান জয়ের উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ সংগ্রহ করেছে ১উইকেটের বিনিময়ে ৫৫ রান। ৪৭৬ রান পিছিয়ে থাকা বাংলাদেশ দলকে পাড়ি দিতে হবে দুর্গম গিরি কান্তার মরু ,দুস্তর পারাবার। উইকেটে আছে ভালো খেলতে থাকা জাকির হাসান এবং নৈশ প্রহরী তাইজুল ইসলাম। প্রতিটি ব্যাটসম্যানকে নিজেদের ক্রিকেট চরিত্র প্রমান করতে উইকেটের মূল্য দিতে হবে. প্রথম দুই দিন শ্রীলংকার অধিকাংশ ব্যাটসম্যান যেভাবে নিজেদের প্রমান করেছে বাংলাদেশের সেখান থেকেও দীক্ষা নিতে হবে. উইকেটে কিন্তু আতংকিত হবার মত কিছু নাই। প্রাথমিক জুজুর ভয় কেটে গাছে। প্রাথমিক লক্ষ থাকবে আজ প্রথম সেশন দেখে শুনে খেলা। আগ্রাসী থাকবে শ্রীলংকান বোলাররা। হারাবার কিছু নেই আছে অর্জনের অনেক কিছুই। দায়িত্ব নিয়ে খেলতে হবে জাকির ,শান্ত ,মোমিনুল ,সাকিব ,লিটনদের। যে উইকেটে শ্রীলংকার ৬ জন ব্যাটসম্যান ৫০ + রান করতে পারে সেখানে বাংলাদেশের দুই একটি শতরান ,দুই তিনটি বড় পার্টনারশিপ আশা করা যেতেই পারে। উইকেট অপেক্ষাকৃত ধীর গতির। স্পিন হলেও বল অস্বাভাবিক ব্যবহার করে নি. মনে রাখতে হবে প্রথম ইনিংসটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। যতটা সম্ভব শ্রীলংকা দলের স্কোরের কাছাকাছি পৌঁছাতে হবে. শুস্ক উইকেটে চতুর্থ ইনিংস ব্যাট করা কঠিন হতে পারে। নৈশ প্রহরী তাইজুল প্রথম টেস্টে কঠিন উইকেট এবং ম্যাচ পরিস্থিতিতে উপমধর্মী প্রতিরোধ করেছিল। সেই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে আজো তাইজুল নিজেকে প্রয়োগ করলে বিস্মিত হবো না. অধিনায়ক শান্ত এবং মেধাবী লিটনের কাছে কিন্তু বড় ইনিংস পাওনা হয়ে গেছে। চট্টগ্রাম ম্যাচ মোমিনুল হকের পয়মন্ত। আছে এখানে ওর মধুর স্মৃতি। সিলেটে দ্বিতীয় ইনিংসে অনেকটা একাই লড়াই করেছে মোমিনুল। এই ম্যাচে দলে ফেরত তুখোড় চৌকষ খেলোয়াড় সাকিব আল হাসানের জন্য মোক্ষম সুযোগ ক্রিকেট বিশ্বকে রাজকীয় প্রত্যাবর্তন প্রদর্শনের। টিম ম্যানেজমেন্ট ভালো করেছে তরুণ শাহাদত হোসেন দীপুর উপর ভরসা রেখে। আমি মনে করি ক্রিকেট অনুরাগীরা ভালো কিছু আশা করতেই পারে আজ. জানি কাজটি বলা যত সহজ করা ততটাই কঠিন। টেস্ট ক্রিকেট এমন একটি খেলা যা সেশন বাই সেশন খেলতে হয়. ক্ষনে ক্ষনে পট পরিবর্তন করে. প্রাথমিক লক্ষ থাকবে যত কম উইকেট হারিয়ে ফলো ওন স্কোর ৩৩২ পেরুনো। পরিকল্পনা করে বলের ম্যান অনুযায়ী ব্যাটিং করলে যথেষ্ট সম্ভাবনা আছে। ধৈর্য্য বজায় রেখে ঠান্ডা মাথায় খেলতে হবে. উইকেটে থাকলে রান আসবে।
এই টেস্ট অন্তত পরাজয় এড়াতে পারলে বাংলাদেশের জন্য হবে বিশাল অর্জন। আশা করি ক্রিকেটের অগ্নি পরীক্ষায় জয়ী হবে বাংলাদেশ।