স্টাফ রিপোর্টারঃ
সাতক্ষীরার কলারোয়ায় প্রকাশ্যে পোষ্টার, লিফলেট, প্রচার মাইক ভাংচুর সহ জীবন নাশের হুমকি প্রদানের অভিযোগে উপজেলা নির্বাচন অফিসে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন স্বতন্ত্র মেয়র পদপ্রার্থী সাজেদুর রহমান খান চৌধুরী মজনু।
মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারী) বিকালে তিনি কলারোয়া পৌর নির্বাচনের রির্টানিং অফিসার ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বরাবর এই আবেদন করেন।
অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, গত ১৮ জানুয়ারী কলারোয়া উপজেলা আ’লীগের সভাপতির নেতৃত্বে পাবলিক ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গনে পৌর নির্বাচন উপলক্ষ্যে আয়োজিত কর্মী সভা থেকে উপজেলা পষিদের ভাইস চেয়ারম্যান কাজী আসাদুজ্জামান সাহাজাদা আমার নির্বাচনী প্রচার মাইক ভাংচুর ও আমার নির্বাচনী নেতা-কর্মী, সমর্থক সহ আমার জীবন নাশের হুমকি প্রদান করে। এমন কি বিভিন্ন বক্তারা নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মনিরুজ্জামান বুলবুলকে সামনে রেখে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ছাড়া অন্য কোন প্রার্থীসহ নেতা-কর্মীদের মারধর করে নির্বাচনের মাঠ থেকে সরিয়ে দিয়ে ভোট কেন্দ্র দখল করার হুমকি প্রদর্শন করে এবং বক্তারা প্রকাশ্যে ভোটকেন্দ্র দখলের জন্য কে কোন কেন্দ্র জবর দখলের দায়িত্ব নিবে সেটিও নির্দেশনা দেন। উপজেলা আ’লীগের সভাপতি ফিরোজ আহম্মেদ স্বপন তার বক্তৃতার মাধ্যমে পূর্বর বক্তাদের বক্তব্যের প্রতি সমর্থন জানিয়ে পৌর নির্বাচনে নয়টি কেন্দ্রে মোবাইল প্রতীকসহ অন্য কোন প্রতীক থাকবেনা মর্মে ঘোষণা দেন। গত দিনের এই কর্মী সভায় বক্তব্য শুনে কলারোয়া পৌরবাসী দারুনভাবে বিচলিত। সাধারণ ভোটারদের মধ্যে ভয়ভীতি ও আতংক বিরাজ করছে। এমতাবস্থায় আমরা শান্তিপ্রিয় মানুষ নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে এবং সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে নির্বাচনী কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছি। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে উক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরী।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মনোরঞ্জন বিশ্বাস সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, কর্মী সমাবেশ করার কোন এখতিয়ার নেই কোন প্রার্থীর। তবে কোন পথ সভা করতে হলে ২৪ ঘন্টা আগে থানাকে অবহিত করতে হয়।
কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মীর খায়রুল কবির সাংবাদিকদের জানান, অফিসিয়ালি কর্মী সভার বিষয়ে আমাকে অবহিত করা হয়নি। মজনু চৌধুরীর অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন,আমি এ বিষয়ে কিছুই জানিনা। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নিব।