নতুন সূর্য ডেস্কঃ
গাজীপুর কাশিমপুর কারাগারে বন্দী হলমার্ক গ্রুপের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) তুষার আহমদ কারা কর্মকর্তাদের কক্ষেই নারীর সঙ্গ পেতেন। আর নারীসঙ্গের ব্যবস্থা করে দিতেন খোদ কারা কর্মকর্তারা।
সংশ্লিষ্ট কারাগারের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তার ইন্ধনে, আরও কয়েকজন কারারক্ষীর সম্পৃক্ততায় কারাগারেই তারা একান্তে মিলিত হওয়ার সুযোগ পেতেন। তবে এর পেছনে রয়েছে গোপনে চুক্তিবদ্ধ হওয়া মোটা অংকের অর্থ লেনদেনের বিষয়।
বন্দি হয়েও নিয়ম ভেঙে কারাগারের ভেতরে শুধু নারীর সঙ্গে সাক্ষাতই করেননি, কাটিয়েছেন দীর্ঘসময়। এমন ঘটনা ঘটেছে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায় হলমার্ক কেলেঙ্কারির সাজাপ্রাপ্ত বন্দি তুষারের সঙ্গে কারাগারের ভেতরে দেখা করেন এক নারীসহ তিনজন। অবৈধভাবে এ সুযোগ করে দেন জেল সুপার রত্না রায়। তদন্ত কমিটি বলছে, ঘটনার সত্যতা পেয়েছে তারা।
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, গত ৬ জানুয়ারি গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের পার্ট-১ এ আটক হলমার্ক কেলেঙ্কারির হোতা মালিক তানভীরের ভায়রা কোম্পানির জিএম তুষারের সাথে এক নারী সাক্ষাৎ করেন। ডেপুটি জেলার সাকলাইন সাক্ষাতের অনুমতির জন্য ১২টা ২২ মিনিটে সুপারের রুমে প্রবেশ করেন। সুপারের রুম থেকে অনুমতি নিয়ে ১২টা ৪০ মিনিটে বের হন সাকলাইন। ১২টা ৫৬ মিনিটে ওই নারী কারাগারে প্রবেশ করেন।
সিসিটিভিতে দেখা যায় ডেপুটি জেলার সাকলাইন ১২টা ৫৭ মিনিটে কারাগারের ভেতরে প্রবেশ করে ১টা ০৪ মিনিটে তুষারকে সাথে নিয়ে ওই নারীর সাথে সাক্ষাৎ করতে একটি কক্ষে নেন। ১টা ১৫ মিনিটে জেল সুপার কারাগার থেকে বের হয়ে যান। এরপর তুষার একটি কক্ষে প্রায় ৪৬ মিনিট সময় কাটায় ওই নারীর সাথে।
এদিকে বন্দীর সাথে একান্তে স্ত্রীর সময় কাটানোর অভিযোগে সহায়তার দায়ে ডেপুটি জেলার মোহাম্মদ সাকলাইনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। একইসঙ্গে সার্জেন্ট আব্দুল বারী ও সহকারী প্রধান কারারক্ষী খলিলুর রহমানকেও প্রত্যাহার করা হয়। তাদেরকে অফিস আদেশের মাধ্যমে কারা সদর দপ্তরে সংযুক্ত করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
আজ শুক্রবার রাতে কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ মোমিনুর রহমান মামুন এই তথ্য সাংবাদিকদের জানান, ৩ জনকে প্রত্যাহারের পাশাপাশি তদন্তের স্বার্থে সংশ্লিষ্ট যে কোনও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদেরকেও প্রয়োজনে অতি দ্রুতই প্রত্যাহার করা হতে পারে।