বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০২৪

সদ্যপ্রাপ্ত সংবাদ
পাটুলীয়া গ্রামের শামসুর রহমানের নির্যাতন থেকে মুক্তি চান অসহায় জাহিদুল ইসলাম
পাটুলীয়া গ্রামের শামসুর রহমানের নির্যাতন থেকে মুক্তি চান অসহায় জাহিদুল ইসলাম

পাটুলীয়া গ্রামের শামসুর রহমানের নির্যাতন থেকে মুক্তি চান অসহায় জাহিদুল ইসলাম

সেলিম খান কলারোয়া প্রতিনিধি :?

পাটুলীয়া গ্রামের শামসুর রহমান, মো: তবিবর রহমান বিশ্বাস এর নিকট থেকে ২৩ শতাংশ জমি ক্রয় করে ছিল ২০১০ সালে তিন দাগে । কিন্তু শামসুর রহমান তিন দাগের জমি দখল না করে তিনি ১৪০ খতিয়ানের ৮৯০ দাগের এক জায়গা থেকেই ২৩ শতাংশ জমি খনন করে একটি পুকুর করেন । ২০১০ সালে জমিটি করার পর থেকেই পুকুরটি বিনা বাধায় করে আসছেন। ২০১০ থেকে ২০১৯সাল পর্যন্ত কোন সমস্যায় হয়নি দুই পক্ষের কারোরই। ২০১৯ সালে তবিবর রহমান বিশ্বাসের মেয়ে মিনি বেগম কারসাজি করে শামসুর রহমানের দখলকৃত ২৩ শতাংশ জমি থেকে ১৩ শতাংশ জমি লিখে নেন । তারপর থেকেই চলতে থাকে সমস্যা যদিও শামসুর রহমানের পুকুরের জমি বাদে বাকি জমি গুলোর আগেই লিখে দিয়েছেন বৌ,ছেলে, মেয়েকে, তবে এক কথায় কেস হবে জমি বিক্রেতা তবিবর রহমান বিশ্বাসের নামে কিন্তু তবিবর রহমান বিশ্বাস কে কেস না করে ছেলে জাহিদুল ইসলামের নামে কেস করেন শামসুর রহমান। অনেক আগে থেকেই নিজের ভাগের জমি করছেন জাহিদুল ইসলাম। সেই জমিতে একটি পুকুর ও কেটেছেন । হঠাৎ জমি পাওয়ার দাবি করেই পুকুর কাটায় বাধা দেন শামসুর রহমান । কিন্তু শামসুর রহমান সাংবাদিকদের কাছে বলেছেন তিনি জমি পাবেন পূর্ব পাশের দিকে যেটা বোনেদের ভাগে পড়েছে। কিন্তু তিনি কেন পুকুর কাটায় বাঁধা দিলেন এর কোন উত্তর দিতে পারেননি তিনি।একটি কেস করেছেন তাতে তিনি উল্লেখ করেছেন যে দুই দাগের জমি মিলিয়ে মোট ৩৩ শতাংশ জমি তার দখলে রয়েছে। তার ভিতরে একটি থেকে শামসুর রহমানকে তাড়িয়ে দিতে চাচ্ছে জাহিদুল ইসলাম। তাকে নাকি রীতিমতো হুমকি-ধামকি ও দিচ্ছেন জাহিদুল। ২৩শতাংশের পুকুরটি ছাড়া কোন জমি দখলে নেই শামসুরের । বুনাই নুরুল হক এবং শামসুর রহমানের কারসাজিতে জাহিদুল ইসলামের পরিবার দুশ্চিন্তায় প্রতিনিয়ত জীবনযাপন করছেন। জাহিদুলের চাচা পাড়া-প্রতিবেশী এলাকার সাধারণ মানুষ বলেছেন একটি পুকুর ছাড়া আর কোন কিছুই দখলে নেই শামসুরের। চাচা সহ এলাকার মুরুব্বিরা এ বিষয়ে মীমাংসা করতে চাইলে তিনি কারও কথাই শুনছেন না শামসুর রহমান। মামলায় যাদেরকে সাক্ষী করেছেন তারা জানেনই না যে তারা এই মামলার সাক্ষী, আবার সাক্ষীরা বলছে কখনোই এই একটি পুকুর ছাড়া কোনো জমি দখলে ছিল না শামসুরের। অন্যদিকে জাহিদুল সহ তাদের ভাইবোনদের মধ্যে বাবা যে জমি লিখে দিয়েছিলেন তার সনাক্তকারী ও এই শামসুর রহমান । তবে কেন শামসুর রহমান আগেই নিজের জমি বাদে তবিবর রহমান বিশ্বাসের অন্য ছেলে মেয়েদের জমির লেখার বিষয়ে বাধা দেনি কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে অস্বীকার গিয়েছেন শামসুর রহমান। এই বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ভূমি কর্মকর্তার সাথে কথা হলে তিনি সাংবাদিকদের কে জানান, যার দলিল আগে জমির মালিক তিনি হবেন। দেয়াড়া ইউনিয়নের পাটুলীয়া গ্রামের মেম্বার কাউসার এর সাথে কথা বললে তিনি বলেন শামসুর রহমান তবিবর রহমান বিশ্বাসের নিকট থেকে জমি ক্রয় করেছিলেন তাই নিয়ে একটি মামলা সাথে চলমান আছে বলে আমি এতোটুকু জানি বলে জানিয়েছেন সাংবাদিকদের কে। শামসুর রহমানের সাথে কথা বলতে গেলে তিনি সাংবাদিকদের কোনো বক্তব্য দেননি, ইঙ্গিত এর সুরে হুমকি দিয়েছেন বরঞ্চ সাংবাদিকদেরকে আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য দিবেন না বলেও জানিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে জাহিদুল ইসলাম মিথ্যা মামলা ও সকল বিষয়ের উপরে আইনী সহয়তা ও একটি সুষ্ঠু মীমাংসা চান। এই জমি সংক্রান্ত বিষয়ে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে।

About The Author

Related posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: কপি থেকে বিরত থাকুন,ধন্যবাদ।