নতুন সূর্য ডেস্কঃ
নেদারল্যান্ড, কানাডা এবং যুক্তরাষ্ট্র পর এবার ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ব্রিটিশ হাউজ অব কমন্সে গত ২২ এপ্রিল সংখ্যালঘু উইঘুর মুসলিমদের ওপর চীন সরকারের আচরণকে ‘গণহত্যা’ বলে আখ্যা দিয়ে একটি বিল পাশ হয়েছে। এই ঘটনাকে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের ‘ঐতিহাসিক মুহূর্ত’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন পার্লামেন্টের সদস্য টরি স্যার আইইন ডানকান স্মিথ।
অন্যদিকে, চীন বলেছে, ‘যুক্তরাজ্যের উচিত হবে নিজেদের ভুল সংশোধন করা।’ মানবাধিকার সংস্থাগুলোর মোতে, দশ লাখেরও অধিক উইঘুর মুসলিমকে চীন সরকার জিনজিয়াং প্রদেশের পুনর্বাসন কেন্দ্রে বন্দি রেখে নিপীড়ন করে আসছে। এ ধরনের একাধিক অভিযোগ ও প্রমাণ রয়েছে বলে সংস্থাগুলোর পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।পশ্চিমা বিশ্ব ও মানবাধিকার কর্মীরা চীনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় মানবাধিকার লঙ্ঘন, নির্যাতন, বাধ্যতামূলক শ্রম ও জাতিগত নিধনের অভিযোগ করে আসছে। কিন্তু চীন সরকার তার বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ অস্বীকার করেছে ও পশ্চিমা ষড়যন্ত্র বলে উড়িয়ে দিয়েছে।
উল্লেখ্য, চীনে প্রায় দেড় কোটি উইঘুর মুসলমানের বাস। জিনজিয়াং প্রদেশের জনসংখ্যার ৪৫ শতাংশই উইঘুর মুসলিম। এই প্রদেশটি তিব্বতের মতো স্বশাসিত একটি অঞ্চল। বিদেশি মিডিয়ার সেখানে প্রবেশের ব্যাপারে কঠোর বিধিনিষেধ রয়েছে। কিন্তু গত বেশ কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন সূত্রে খবর আসছে, সেখানে বসবাসরত উইঘুরসহ ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের ওপর ব্যাপক নিপীড়ন চালাচ্ছে বেইজিং। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন সময়ে যৌন নির্যাতনও করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। চীন এগুলোকে সন্ত্রাস দমনের লক্ষ্যে পরিচালিত ‘পুনঃশিক্ষণ কেন্দ্র’ হিসেবে বর্ণনা করে থাকে।