শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

সদ্যপ্রাপ্ত সংবাদ
প্রতারণার বিষয়টি জানতে পেরে SPC থেকে সরলেন মাশরাফি
প্রতারণার বিষয়টি জানতে পেরে SPC থেকে সরলেন মাশরাফি

প্রতারণার বিষয়টি জানতে পেরে SPC থেকে সরলেন মাশরাফি

নতুন সূর্য ডেস্কঃ

এসপিসি ওয়ার্ল্ড লিমিটেড নামের এক মাল্টিলেভেল মার্কেটিং (এমএলএম) কোম্পানির শুভেচ্ছা দূত থেকে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সাংসদ ও বাংলাদেশ ক্রকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। ই-কমার্সের নামে প্রতারণা ও এমএলএম ব্যাবসার বিষয়টি জানতে পেরে এই সিদ্ধান্ত নেন তিনি। মঙ্গলবার (১ জুন) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি স্ট্যাটাস দিয়ে তিনি এ কথা জানান।

পোস্টে তিনি জানান, এসপিসি ওয়ার্ল্ড লিমিটেড প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে আমাকে যে ধারণা দেওয়া হয়েছিলো তা সঠিক নয়। তাই দুই বছরের চুক্তি থাকলেও সবকিছু জানার পর দুই মাসের মধ্যেই আমি তাদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। পরে তিনি সবাইকে বিভ্রান্ত না হতেও অনুরোধ করেন।

পাঠকদের জন্য মাশরাফির স্ট্যাটাস হুবহু তুলে ধরা হল-

‘গত এপ্রিলে আমি ‘SPC GROUP’ নামের একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়েছিলাম।

তাদের সঙ্গে আমার চুক্তি ছিল, ‘শুভেচ্ছা দূত’ হিসেবে তারা তাদের প্রতিষ্ঠানের প্রচারে আমার ছবি ও ধারণকৃত ভিডিও ব্যবহার করতে পারবে। বিনিময়ে তারা নড়াইলে ১০০টি উন্নতমানের সিসিটিভি স্থাপনসহ সামাজিক উন্নয়নের কাজ করবে। কিন্তু সম্প্রতি আমি জানতে পেরেছি, তাদের প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে যে ধারণা আমাকে দেওয়া হয়েছিলো, তাদের ব্যবসার ধরণ তা নয়।’

‘দুই বছরের চুক্তি থাকলেও দুই মাসের মধ্যেই তাদের সম্পর্কে জানার পরই আমি তাদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ইতিমধ্যেই আমি তাদেরকে উকিল নোটিশ পাঠিয়েছি, আনুষ্ঠানিকভাবে চুক্তি শেষ করার আইনি প্রক্রিয়া এগিয়ে নিচ্ছি। আমি সবাইকে অনুরোধ করব, আমার নাম বা ছবি দেখে বিভ্রান্ত হয়ে এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে না জড়াতে।’

জানা যায়, এসপিসি ওয়ার্ল্ড লিমিটেডের প্রধানের নাম আল আমিন প্রধান। গত বছরের নভেম্বরে ই-কমার্সের নামে প্রতারণার মাধ্যমে ২৬৮ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও আলামিন প্রধানকে গ্রেফতার করা হয়। ওইসময় এসপিসি ওয়ার্ল্ড লিমিটেডের ছয় ব্যক্তিও গ্রেফতার হয়েছিলেন।

একসময় ডেসটিনি-২০০০ লিমিটেডে সক্রিয় ছিলেন আল আমিন। প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ হয়ে গেলে তিনি একই ব্যবসাপদ্ধতি অনুসরণ করে অনলাইনভিত্তিক প্রতারণা শুরু করেন। মাত্র ১০ মাস সময়ের মধ্যেই উচ্চ কমিশনের প্রলোভন দেখিয়ে ২২ লাখ ২৬ হাজার ৬৬৮ সদস্যের আইডি থেকে প্রায় ২৬৮ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন আল আমিনসহ বাকি সদস্যরা।

About The Author

Related posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: কপি থেকে বিরত থাকুন,ধন্যবাদ।