আহসান উল্লাহ, কলারোয়া (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধিঃ
সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে হারিয়ে যাচ্ছে পুরনো দিনের ঐতিহ্যবাহী গোলা। আগের দিনে মাঠের সোনালী ফসল ঘরে এনে রাখার জন্য ব্যবহার করা হতো এই গোলা। পূর্বে মাঠে বেশি জমি জায়গা ছিল তারাই মূলত গোলা ব্যবহার করত ফসলগুলো বাড়িতে সংরক্ষিত রাখার জন্য। কালের বিবর্তনে সেটা এখন প্রায় বিলুপ্তির পথে ।
আধুনিক যুগে মানুষ গোলার পরিবর্তে ব্যবহার করছে ইট কংক্রিটের নির্মিত গোদাম। পূর্বে গ্রামের মানুষ মাঠ থেকে ফসলে নেই সেগুলো পরিষ্কার করে রাখত এই গোলাতে। উপরে টিনের ছাউনি আর দেওয়ালে ব্যবহার করা হত বেদ বা বাঁশের চাটাই আর ছোট একটি দরজা যা দেখতে অনেকটা গোলাকার। বাহারি রঙের সাজে অনেক সুদর্শন দেখেই যেন মন ভরে যেত।
অনেক কবিদের কবিতায় শোনা যায় গোয়াল ভরা গরু আর গোলাভরা ধান। সেই গোলাভরা ধান এখন দেখতে অনেক বাড়ি পেরলেই দেখা যায় কলারোয়া উপজেলার কয়েকটি বাড়িতে চোখে পড়ে সেই পুরোনো ঐতিহ্যবাহী গোলা।
পূর্ব পুরুষদের রেখে যাওয়া এ যেন এক ফসলের ব্যাংক। যেখানে রাখা হয় ধান, গম, সরিষা, আরো অন্যান্য ফসলগুলো। কলারোয়া উলুডাঙ্গা গ্রামের কয়েকটি বাড়ি ঘুরে মেলে সেই পুরনো বাপ-দাদার গোলা । তার মধ্যে বড় খোকা ও ফজর আলীর রেখে যাওয়া সেই গোলা গুলো অন্যতম। আজ তারা বেছে নেই কিন্তু তাদের রেখে যাওয়া সেই ফসলের ব্যাংক গোলা এখনো রয়েছে দৃশ্যমান ।
ফজর আলী গাজীর ছেলে আনিসুর রহমানের সাথে কথা বলে জানা যায়, তিনি এই গলাটা খুব যত্নসহকারে এখনো ব্যাবহার করেন। যদিও তার পাশাপাশি তাঁর ইট-কংক্রিটের নির্মিত একটি বড় গুদামঘর রয়েছে। তবুও বাপের রেখে যাওয়া জমি আর জমির ফসল এই গোলাতে রেখেই যেন আজও বাবাকে স্মরণ করছে তিনি।